ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে কাল

6

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার গঠনের দুই মাসের মাথায় আগামীকাল রবিবার শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক সম্মেলন; যা সচরাচর ‘ডিসি সম্মেলন’ নামেই পরিচিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের লক্ষ্য ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে চার দিনব্যাপী এ বছরের ডিসি সম্মেলনে; যা চলবে ৬ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত।
বাৎসরিক এই সম্মেলনে দেশের ৬৪টি জেলার প্রশাসক ও আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনাররা অংশ নেবেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনাসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন ডিসিরা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশনও রয়েছে তাদের। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা এবারই প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এছাড়া স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে এই সম্মেলনে।
তবে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি দেশের বাইরে গেলে এবার ডিসিদের সঙ্গে নতুন রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ হবে না। উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৩ সালে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি, আর শেষ হয় ২৬ জানুয়ারি। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন মো. আব্দুল হামিদ। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল শপথ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে তথ্য জানা গেছে, ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ শনিবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাবও তুলে ধরেন। এবারের ডিসি সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব এসেছে। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫টি।