ডিম রক্তে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়

14

হাসিনা আকতার লিপি

ডিম খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে-এত দিনের এই ধারণা আসলে সত্যি নয়। একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। সবচেয়ে বড় কথা, রক্তে কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা দেয় ডিম। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে, ভালো রাখে চোখ, হাড় এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়। সকালের নাস্তায় একটি ডিম থাকলে যতটা স্বাস্থ্যসম্মত হয় মিষ্টি বা চর্বি জাতীয় খাবার থাকলে সেটা হয় বেশী ক্ষতিকর। ডিমের মধ্যে যে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে বরং উপকারী চর্বি ঐউখ বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমের পুষ্টিগুণ: ডিমে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি২, টোটাল ফ্যাট, ওমোগ-৩ ফ্যাটস, ভিটামিন এ-ডি-ই ও কে; ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন বি৫, বি৬, বি১২: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি১, বায়োটিন, সোলিনিয়াম প্রভৃতি রয়েছে। ১. ডিমে বিদ্যমান আয়রণ সহজে হজম হয় এবং উক্ত আয়রণ মানব কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে ও রক্তশূন্যতা দূও করে। ২. ভিটামিন এ ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী ও বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি। ৩. ভিটামিন ডি হাড় এবং দাঁতের জন্য উপকারী। ৪. ভিটামিন ই এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বিভিনন্ন রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ৫. ভিটামিন বি১২ হার্টকে ভালো রাখে। ৬. ফলেট নতুন কোষ তৈরি ও রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং গর্ভবর্তী মায়েদের গর্ভপাতের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। ৭. প্রোটিন পেশি, অঙ্গ, ত্বক, চুল এবং বিভিন্ন টিসুর জন্য প্রোটিন হরমোন, এনজাইম এবং অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। ৮. তাছাড়া কোলিন নামক যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা ব্রেষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। ৯. বছরের নিচের ছেলে মেয়েরা দুটো করে খেতে পারবে। আর প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে ১ বার নিশ্চিন্তে খেতে পারবে। গর্ভবতী এবং প্রস্যু তারা অবশ্যই দুটো করে ডিম প্রতিদিন খাবেন।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ল্যাব এইড লিমিটেড (ডায়াগনস্টিক) চট্টগ্রাম। পার্ক ভিউ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড