ডিজিটাল প্রচারণায় বিএনপির শাহাদাত

18

করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার উদ্যোগ হিসাবে প্রচারণা সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। জনসমাগম থেকে সরে ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারণার প্রতি জোর দিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে একটি ওয়েবসাইটও চালু করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন বিএনপির এ প্রার্থী।
গত মঙ্গলবার নগরীর নাসিমন ভবনে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নামে ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রচারণা সীমিত করে বিএনপি। যদিও সিডিউল অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাবেন ডা. শাহাদাত।
ওয়েবসাইট উদ্বোধনকালে আমির খসরু বলেন, বর্তমান আধুনিক যুগে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অল্টারনেটিভ মিডিয়া। জনগণের সঙ্গে সংযোগ রাখা ও সংলাপ করার জন্য ওয়েবসাইট। জনগণের কথা শোনা এবং আমাদের কথা বলার একটা ভালো মাধ্যম এটি। এতে আমাদের চিন্তায় যদি ঘাটতি থাকে তা পূরণে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, বিএনপির নির্ভরশীলতা হচ্ছে জনগণের উপর। আওয়ামী লীগ জনগণের উপর আস্থা রাখছে না। তাদের নির্ভরশীলতা চলে গেছে অন্য জায়গায়। তাই জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, জনগণের সঙ্গে কথা বলার জন্য এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণা জোরদার করতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ওয়েবসাইটটি খুলেন। একই সাথে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় কোলাকুলি-হ্যান্ডশেক এড়িয়ে অনলাইনে প্রচারণা বাড়াতে এ ওয়েবসাইট কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া ডিজিটাল প্রচারণার মাধ্যমে ভিন্ন ইমেজও কাজ করবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে যেমন যাওয়া সহজ হবে, তেমনি ভাইরাস ভীতিও কমবে। এমন প্রচারণায় মানুষের আস্থাও বাড়বে প্রার্থীর প্রতি, এমনটা মনে করা হচ্ছে।
মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণের সাথে আমাদের কমিটমেন্টের কারণে প্রচারণায় যেতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসকে ডব্লিওএইচও মহামারী ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত জনস্বার্থে নির্বাচন পেছানো। ভোটের জন্যই তো নির্বাচন। আতঙ্কের মধ্যে মানুষ ভোট দিতে যাবে না। নির্বাচন পিছিয়ে করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি, ডিজিটাল প্রচারণা বাড়িয়ে গণসংযোগ এড়ানোর। কিন্তু আগে থেকেই আমাদের একটা সিডিউল করা আছে। করোনার কথা বিবেচনা করে সেটা সীমিত করার চেষ্টা করছি। ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। তাছাড়া ডিজিটাল প্রচারণা বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই যে করোনা ভাইরাস হয়ে যাবে, এ রকম ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পানি বেশি খেতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
ওয়েবসাইটে একজন চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ পরিচয় দিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেকে তুলে ধরেন এভাবে- প্রাচ্যের রাজধানী সবুজে ঘেরা এ চট্টগ্রামের সন্তান। জন্ম বেড়ে উঠা এবং কর্মজীবনের প্রতিটি দিন প্রেরণা তার স্বপ্নের চট্টগ্রাম। তার আপনজন এ চট্টগ্রামবাসী। তার প্রেরণা এ মাটি ও মানুষ। স্বপ্ন দেখেন সুস্থ সংস্কৃতির স্বপ্নের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের। নগরপিতা নয় নগরীর সেবক হিসেবে মুল্যবান মতামত পেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে সামিল হয়েছেন।
১৯৬৬ সালের ২ জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হারালা গ্রামে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শাহাদাত হোসেন। তার বাবা প্রয়াত আহমদুর রহমান ও মা শায়েস্তা খানম।