ডিএসইর লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

46

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে। তবে এদিন ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, সোমবার ডিএসইএক্স সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৬৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ও ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩০৮ ও ১৯৯৮ পয়েন্টে রয়েছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিট পর ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়। বেলা ১১টার দিকে ৯ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর ১২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭১২ পয়েন্টে অবস্থান করে। তবে দিনশেষে ডিএসই’র সব সূচকই কমে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ৪৪ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন ১০ মার্চ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকার।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি হলো- মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিঙ্গার বিডি, লাফার্জ হোলসিম, ফরচুন সুজ, নূরানী ডাইং, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল এবং এসকে ট্রিমস।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৮ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার। যা আগের দিনের চেয়ে ৮ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।