ডিএপি সার কারখানার ১৮১ কর্মচারীকে স্থায়ী করার দাবি

8

চট্টগ্রাম রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড-এ (ডিএপিএফসিএল) নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানির পরিচালকমÐলীর ১১তম সভায় সিদ্ধান্ত ছিল নতুন নিয়োগে অস্থায়ীদের অগ্রাধিকারের দেওয়া। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে নতুন ৯৪ জনকে নিয়োগে তোড়জোর চলছে। এক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে ১৬ বছর আগে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া শ্রমিকরা এ অভিযোগ করেন।
অস্থায়ী শ্রমিক শাহ জালাল গণি বলেন, ডিএপিএফসিএল-এ জনবল সংকটের কারণে শূন্য পদের বিপরীতে ২০০৬ সালে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে আমরা নিয়োগ পেয়েছিলাম। দৈনিক পারিশ্রমিক ভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া বর্তমানে কর্মচারির সংখ্যা ১৮১ জন। ২০-২৫ বছর বয়সে আমরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। এরপর ১৬ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করে আসছি। বর্তমানে অনেকের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করেছে অজুহাতে চাকরিচ্যুত করে তাদের জায়গায় ৪-৫ লাখ টাকা নিয়ে লোক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে গেটকিপার, ওয়েম্যান, খালাসি, ফায়ার ফাইটার, এমএলএসএস, লাইব্রেরিয়ান, কম্পাউন্ডার, ড্রাইভার ও ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োজিত আছি। আমাদের এখন যে বয়স, তাতে অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সময় চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেওয়া হলেও আমাদেরকে স্থায়ী করা হয়নি। চাকরি স্থায়ী করার জন্য একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ জালাল বলেন, গত ৭ আগষ্ট ডিএপিএফসিএল-এ ৯৪টি পদে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে অস্থায়ীদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ আগষ্ট অস্থায়ী শ্রমিকরা নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে ডিএপিএফসিএল গেইটে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেলিম, এরশাদ, আরিফ হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি