ডা. শাহাদাত-বক্করসহ ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

27

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করসহ ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। তার আগে বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে জামালখান মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৪৯ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলায় আসামি করা হলেও মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৪৯ জন ছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দর মির্জা, শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, সদস্য আহমদুল হোসেন চৌধুরী রাসেল, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল্লাহ শহীদ, মহানগর ছাত্রদলর আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদ, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহŸায়ক মো. গোলজার হোসেন, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের মো. আল সাকি, খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. রায়হান আলম, যুবদলনেতা মো. কফিল উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশের সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ঘটনার সময় উপস্থিত মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার পরে আসায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মানববন্ধন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় বিএনপির ৪৯ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে মোট ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।