ডা. শাহাদাতের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ

24

নাশকতা ও চাঁদাবাজির দুই মামলায় মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালতের বিচারক। এ নিয়ে তিনবার তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রতিবারই আদালতের বিচারক তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন ফিরিয়ে দেন। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন। একই সাথে শাহাদাতের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল কোতোয়ালী থানার নাশকতার মামলা ও গেল ৩১ মার্চ চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া চাঁদাবাজির মামলায়ও পুলিশ তাকে রিমান্ডে পায়নি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, ‘করোনার কারণে আসামিদের কারাগারে রেখেই আমরা ভার্চুয়ালি শুনানি করেছি। আমরা শাহাদাত হোসেনের জামিন আবেদন করেছি। অন্যদিকে পুলিশ কোতোয়ালী থানার নাশকতা ও চকবাজার থানার চাঁদাবাজির মামলায় প্রত্যেকটিতে সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আাদলত জামিন ও রিমান্ড উভয় আবেদনই নামঞ্জুর করেছেন।’
প্রসঙ্গতঃ গত ২৯ মার্চ দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেল বিষ্ফোরণ, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলারও অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও। হামলার পর নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সম্প্রতি নগর মহিলাদলের পাঁচ নেত্রী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নাশকতার এক মামলায় ডা. শাহাদাতের জামিন মিলেছে। ২৯ মার্চ গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ট্রাফিকের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করায় সেই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে। অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলাবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত। তাকে কোতোয়ালীর দুই মামলাও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সব মিলে ডা. শাহাদাতকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।