ডা. ফজলুল আমীন ছিলেন আলোকবর্তিকা : পেয়ারুল

8

 

দক্ষিণ কাট্টলী ডা. ফজলুল-হাজেরা ডিগ্রী কলেজের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিথযশা চিকিৎসক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ডা. ফজলুল আমীন এর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল ১১টায় কলেজ মাঠে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, মরহুম ডা. ফজলুল আমীন প্রতিকুলতার সাথে কঠোর সংগ্রাম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তৎকালীন অবহেলিত, অন্ধকারাচ্ছন্ন, পশ্চাদপদ সমাজেজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আলোকিত মানুষ তৈরির কাজে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সেবকের প্রতিচ্ছবি। গরীব ও অসহায় রোগীদের জন্য তিনি আশ্রয়স্থল ছিলেন। তিনি চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে একদিকে মানুষকে যেমন রোগ মুক্ত করেছিলেন আবার একটিশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যা হবে নতুন প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ। এলাকায় উচ্চ শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি কাজ করেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে দক্ষিণ কাট্টলীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাইমারী থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো। ডা. ফজলুল-হাজেরা ডিগ্রী কলেজ তাঁরই অক্লান্ত পরিশ্রম ও অসাম্যন্য অবদানের পরিচয় বহন করে চলছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার নাথ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ আলম, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মরহুম ডা. ফজলুল আমীন এর কনিষ্ঠ পুত্র এবং কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ডা. মো. আরিফুল আমীন। কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পপি সাহা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শারমিনা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মনোজ কুমার দেব। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা বেগম। স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. জাফর, মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর মিয়া, কাউন্সিলর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাঈল, আনোয়ার চৌধুরী, নেজাম উদৌলা চৌধুরী, নারায়ণ বৈষ্ণব, নারায়ন মজুমদার এবং ডা. ফজলুল আমীন এর দৌহিত্র ফয়সাল আমীন প্রমুখ।
মরহুম ফজলুল আমীন এর পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ডা. আরিফুল আমীন। বিজ্ঞপ্তি