ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৫টি নিয়ম মানতে হবে

65

হাসিনা আক্তার লিপি

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (খাদ্য ও পুষ্টি) হাসিনা আক্তার লিপি বলেছেন, ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ ও সারাজীবনের রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৫টি নিয়ম মানতে হয়। তিনটা ‘ডি’ এবং দুইটি ‘ই’। প্রথম ‘ডি’ হচ্ছে ডায়েট বা খাদ্য ব্যবস্থা, দ্বিতীয় ‘ডি’ হচ্ছে ড্রাগ বা ওষুধ, তৃতীয় ‘ডি’ হচ্ছে ডিসিপ্লিন বা শৃংখলা, চতুর্থ ‘ই’ হচ্ছে এডুকেশন বা শিক্ষা এবং পঞ্চম ‘ই’ হচ্ছে এক্সসাইজ বা ব্যায়াম। তবে ডায়াবেটিসের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নাই। ডায়াবেটিসে আক্রন্ত হবার কারণ যা অনুমান করা হয়, তা হলো- বংশগত কারণ, অতিরিক্ত ওজন, পরিশ্রম না করা এবং দীর্ঘদিন কর্টিসোল জাতীয় ওষুধ বা স্টেরয়েড সেবন করা। এছাড়া কোনো লক্ষণ থাকে না, বয়স লাগে না, পেশার দরকার হয় না। যে কারোরই হতে পারে। কারণ ডায়াবেটিস ঝরষবহঃ উরংবধংব বা নীরব রোগ। এটি হলে চিকিৎসা নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। প্রথমেই সচেতন হয়ে শৃঙ্খলায় আসতে হবে। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। সঠিক নিয়মে অর্থাৎ ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। কত ক্যালরি খাবার দরকার তা জানতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম আর সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। ধুমপান, জর্দা, মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে। সবশেষে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। নিয়মিত হেঁটেই নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা প্রতি মাসে না হলেও দুই মাসে একবার বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করুন। তাঁর পরামর্শেই ওষুধ সেবন শুরু করুন এবং বন্ধও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করুন। আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম। তাই ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটা নিজেকেই শিখে নিতে হবে। যেমন বাসায় একটা গ্লু কোমিটার মেশিন রাখতে হবে এবং খাওয়ার আগে ও পরে ডায়াবেটিস মাপতে হবে। হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ কমে গিয়ে যে মারাত্মক পরিস্থিতি হয় তাকে হাইপোগ্লোইসেমিয়া বলা হয়। সেই ক্ষেত্রে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুও হতে পারে।