ডাক্তারদের আচরণে বিরক্ত

32

সড়কে অনেক সময় যানবাহন শৃঙ্খলা মেনে চালানো হয় না। এ জন্য দেশের সব সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একনেক সভায় ‘খুলনা-চুনকা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক খুলনা চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় কিছু ফুটেজ দেখানো হয়। ফুটেজে দেখা গেছে সড়কে যানবাহন এলোপাতাড়িভাবে রাখা। সড়কও আঁকাবাঁকা। এসব ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ড্রাইভার-হেলপারদের জন্য সড়কের পাশে আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে।
সড়ক রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্যবাহী কোনো যানবাহন বা ট্রাক যাতে ওভারলোড হয়ে সড়কে না উঠে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। সড়কের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সড়কের পাশে একই ধরনের প্রকল্প যেন অনেকে বাস্তবায়ন না করে এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভবন নির্মাণের সময় প্রতিটি ভবনে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার কথা সভায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডাক্তারদের আচরণে বিরক্ত : ঢাকার বাইরের জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের পোস্টিং দেওয়ার পরেও সেখানে কাজে যোগ না দেওয়ার ঘটনায় এবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প প্রসঙ্গে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। একনেক সভা শেষে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাক্তাররা যেখানে চাকরি করেন, সেখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করলে তবুও হয়তো কিছুটা ভালো হতো। যখন চাকরি করেন এক জায়গায়, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন আরেক জায়গায় বা পার্টটাইম পড়ান আরেক জায়গায়, তখন তারা হাসপাতালে থাকতে পারেন না, বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যে, আগুন লাগলে দমকল বাহিনী পানি পায় না। এর জন্য হলেও ‘ড্রেন ওয়াটার’ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন, কাজে লাগবে। বাড়ির আশপাশের খাল-বিল, পুকুর থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করে তাতে পানি সংরক্ষণ করুন, এটা খুব বেশি দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওভারলোডিং সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমাদের এখানে গ্রোয়িং ইকোনমি, ওভারলোডিং হয়। ওভারলোডিং কমানোর জেনারেল ইনস্ট্রাকশন এসেছে যে, আপনারা যান, খোঁজ-খবর নেন। আমরা স্বীকার করি, গ্রোয়িং ইকোনমির এই পর্যায়ে ওভারলোডিং পুরোপুরি এভয়েড করতে পারবো না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা হচ্ছে না, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না- সবকিছুই ওভারলোডিং।