নিজস্ব প্রতিবেদক
রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুইটি অত্যাধুনিক-একে ২২ রাইফেল, ইতালির তৈরি একটি ৭.৬৫ পিস্তল, থ্রি নট থ্রি রাইফেল একটি, একটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও বিপুল পরিমাণ বুলেটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জন মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে একসময় পরিচিত ছিল। বর্তমানে তারা সাকার ভাই বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
গতকাল বুধবার ভোর রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়া এলাকায় একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রাউজান থানা পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাউজানের নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. নুরুল আবছার, কামরুল হাসান টিটু ও গিয়াসউদ্দিন বাবলু। এদের মধ্যে কামরুল হাসান টিটু এর মাস্টারমাইন্ড বলে জানান এসপি।
তিনি বলেন, কামরুল হাসান টিটুর বাড়ি থেকেই বেশিরভাগ অস্ত্র পাওয়া গেছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে কামরুলের একটি কানেকশন রয়েছে। আরেক ব্যক্তি দুবাই থাকেন, তিনিও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে ইন্ধন দিচ্ছেন। সন্ত্রাস কবলিত যে জনপদ এখন একটি শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। সেই শান্তির জনপদকে আবারও উত্তপ্ত করার একটি প্রচেষ্টা চলছে বলে আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলবে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তাদের কি পরিকল্পনা ছিল, তাদের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা আনা হবে। সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার কামরুল হাসান টিটুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা অস্ত্রগুলো দিয়ে বিভিন্ন সময় ডাকাতিও করত। ডাকাতির পাশাপাশি আর কী উদ্দেশ্য ছিল তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর, সুজন চন্দ্র সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।