ডাকাতির সময় খুন করে চট্টগ্রামে পালিয়ে আসে লাইলী ডাকাত

16

হাটহাজারী প্রতিনিধি

সাত বছর আগে কিশোরগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির মালিককে হত্যা করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। কিশোরগঞ্জে লাশ গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত আসামি সেই লাইলী (২৫) ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব-৭।
গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী পৌরসভার চন্দ্রপুর এলাকার একটি ভাড়াঘর থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোস্তাফা জামান। তিনি জানান, লাইলী ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার বীর কামাটখালী এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় ১০-১২ জনের ডাকাত দল একটি বাড়িতে ডাকাতি করে এবং স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির মালিককে খুন করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে। তখন এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ কয়েকজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এবং ১০ ডাকাতের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। যেখানে লাইলী অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ঘটনার পরপরই এই কুখ্যাত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য লাইলী নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। গত ৭ বছর ধরে চট্টগ্রামেই বসবাস করে আসছিল এই তরুণী।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে লাইলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাইলী ডাকাতদলের একজন সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও সে ডাকাতি শেষে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছে লাইলী।