ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমলো

27

পূর্বদেশ ডেস্ক

আবারও বাড়ানো হলো মার্কিন ডলারের দাম। গতকাল সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আগে ছিল ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ একদিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমলো ১ টাকা ৬০ পয়সা।
সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলার কিনতে খরচ হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল থেকে সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে। একদিন আগে এক ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা দরে। আর গত ৩১ মে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৯ টাকা। গত বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের মূল্য ৯০ পয়সা বাড়ানো হয়, তার আগে বাড়ানো হয়েছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।
অবশ্য ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাফেদা (বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন) এবং এবিবি (অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ ) মনে করছে, ডলারের দাম এই রেটের কম দিলে প্রবাসী আয় কম আসছে। তাই বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দাম ঠিক করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার মান আরেক দফা অবমূল্যায়নের কারণে আমদানির ব্যয় আরও বাড়বে, আর লাভবান হবেন রপ্তানিকারকেরা।
এর আগে প্রবাসী আয় আনতে গত বৃহস্পতিবার ডলারের দামের সীমা তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। এরপর থেকে দুই দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমদানি পণ্যের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। রফতানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে সে খরচ মেটানো যাচ্ছে না। এতে তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। এই সংকট সামলাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।