ঠিকমতো খাবার ও যাতায়াত ভাড়াও পায় না নৃত্যশিল্পীরা : তারিন

200

সোমবার ছিল নৃত্য দিবস। সারা বিশ্বে প্রতি বছরের ২৯ এপ্রিল নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসেছে। ১৯৯২ সালে দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে এই দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশেও পালিত হয়ে আসছে ‘নৃত্য দিবস’। এই দিনে নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল ও নৃত্যশিল্পী তারিন জাহান।
তারিন জাহান ১৯৮৫ সালে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগীতা ‘নতুন কুঁড়ি’ তে অংশ গ্রহন করে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলাতে প্রথম হন। এখনও নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার। নৃত্য দিবেসে অনেকটা আক্ষেপ করেই তারিন বললেন, ‘যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কিংবা উৎসব উৎযাপনে নৃত্য পরিবেশন অপরিহার্য, নৃত্য ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ থেকে যাই , অথচ এই নৃত্যের প্রতি , নৃত্য শিল্পীদের যথার্থ সম্মান কি দেয়া হয় যেটা তাদের প্রাপ্য? অনেক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠাতে দেখি নৃত্যের ছড়াছড়ি কিন্তু নৃত্যশিল্পী কিংবা নৃত্য পরিচালকের কোনো ক্যাটাগরি নেই , তাদের পুরস্কৃত করা হয় না। অথচ গান, নাটক ,অভিনয়ে পুরস্কার থাকে।
এটাকে কি বলবো অসম্মান নাকি অবহেলা? ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ডান্স গ্রুপের ছেলে মেয়েদের আয়োজকরা কতটা অবহেলা করেন, তাদের অনেক সময় সারা দিন বসিয়ে রাখেন, ঠিক মতো খাবার, তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও থাকে না ,এতো অবহেলা সহ্য করেও অনেক নৃত্যশিল্পী শুধু নাচ কে ভালোবেসে নীরবে কাজ করে যায়, অনেকে অভিমান কিংবা কষ্ট নিয়ে নাচ থেকে দূরে সরে গেছেন।