ট্রেনে চিরচেনা ভিড় এবারও থাকবে না

12

রাহুল দাশ নয়ন

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। করোনা ভাইরাসের কারণে গেল তিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় আনন্দ-খুশি স্বাভাবিকতা হারিয়েছিল। এবারের ঈদুল আযহাতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে লকডাউন সীমিত করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকবে। এক্ষেত্রে যাত্রীর চাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকায় ট্রেন চলাচলে লাগাম টানা হয়েছে। এতে গেল তিন ঈদের মতো এবারো চিরচেনা ভিড় দেখা যাবে না ট্রেনে। যদিও আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাস চলাচল করবে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত পূর্বদেশকে বলেন, ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। ঈদের দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। পরদিন আবার একদিন চলবে। এরপর থেকে লকডাউনে কোনোরূপ ট্রেন চলাচল করবে না। এছাড়াও আজ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত পণ্যবাহী কোনো ট্রেন চলবে না। ২৩ জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হলে তখন আবার পণ্যবাহী ট্রেন চলবে। তবে গেল তিন ঈদের মতো এবারও ট্রেনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে না।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চারদফা ট্রেন চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে তিনটি ঈদেই ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বাড়ি যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ট্রেনে ছিল না চিরচেনা ভিড়। যে কারণে রাতজেগে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহেও ক্লান্তি ছিল না। এবারের ঈদুল আযহাতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যে ট্রেনে চড়ায় আগ্রহ কমেছে। এবারও আগের মতো ট্রেনে ভিড় থাকবে না। ট্রেনের পর্যাপ্ত টিকিট না পেয়ে অনেকেই যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসের প্রতিই ঝুঁকেছেন। তবে ঈদের দিন ও পরের দিন অর্ধেক যাত্রী নিয়েই ট্রেন চলাচল করায় সেই টিকিট পেতেই ঘাম ঝরাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদের আগেরদিন গিয়ে পরের দিন ফিরে আসার মতো যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট পেতে তৎপর বলেও জানা গেছে।
আগ্রাবাদের ব্যাংক কর্মকর্তা আবেদুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ঈদের দিন ট্রেন না চললেও আগের দিন গিয়ে পরের দিন ফেরত আসার জন্য টিকিট সংগ্রহ করেছি। ঢাকায় পরিবারের সাথেই এবার ঈদ করবো। অর্ধেক যাত্রী থাকবে বলে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করেছি। বাসে অর্ধেক যাত্রী রাখার কথা বললেও সেই নির্দেশনা অমান্য করার সম্ভাবনা আছে। যে কারণে ট্রেনেই ভরসা পেয়েছি। অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে ঈদ করার দুশ্চিন্তায় আছেন। যদিও এমন মহামারিতে বাড়ি যেতে না পারলেই ভালো।
রেলের স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছুটি বলতে কিছু নেই। লকডাউনে মালগাড়ি চলাচল করায় সবসময় কর্মস্থলে থাকতে হয়। ঈদের দিন ছুটি থাকলেও অন্যান্য সময় অবশ্যই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’