ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় চট্টগ্রামে চরম ভোগান্তি

18

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার রাজাপুর রেলস্টেশনে ভোরের দিকে ঢাকাগামী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় পথেই আটকে ছিল অনেক ট্রেন। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেক ট্রেন স্টেশনে ফিরতে ও ছাড়তে পারেনি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে লাইন ক্লিয়ার হয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে স্টেশনে ট্রেন ফেরত না আসায় নির্ধারিত সময়ে অনেক ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। যে কারনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল। লাইন ক্লিয়ার হওয়ার পর থেকেই কিছুটা দেরী হলেও আমরা ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করেছি।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন চট্টগ্রামে আসে। এর আগে অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে টিকিট ফেরত দেন। অনেকেই টিকিট ফেরত না দিয়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষায় ছিলেন। স্টেশন থেকে সকালের দিকে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। কিন্তু বিকাল ৩ টার দিকে মহানগর গোধুলী ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা থেকে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম না আসায় গোধুলী নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়েনি। ত‚র্ণা আসার পর চার ঘন্টা বিলম্বে মহানগর গোধুলী সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। একইভাবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকাল ৫টা নাগাদ ছাড়ার কথা থাকলেও সেটিও চার ঘন্টা বিলম্বে রাত ৯ টার দিকে স্টেশন ছাড়ে।
গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সোনার বাংলা ট্রেনের যাত্রী মাহবুব আলম বলেন, পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরতে টিকিট নিয়েছিলাম। বিকাল ৪টা থেকে স্টেশনে বসে আছি। কিন্তু এখনো ট্রেন ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি থাকায় এবং ব্যাগেজ থাকার কারণে বিকল্প পরিবহনেও যেতে পারছি না। রেল কর্মকর্তারা রাত হলেও সোনার বাংলা ছাড়বে আশা দেয়ায় অপেক্ষায় আছি।