ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ভয়ানক ক্ষতি করেছেন : বাইডেন

12

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংস্থা ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ‘ভয়ানক ক্ষতির’ সম্মুখীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় তার ট্রানজিশন টিম ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টাদের কাছ থেকে ব্রিফিং নেওয়ার পর সোমবার বাইডেন এ অভিযোগ করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতা এ ডেমোক্র্যাট আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন; যদিও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প এখনো পরাজয় স্বীকার করে নেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই বিজয়ী প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ব্রিফিং দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু এবার বাইডেন তা পাওয়া শুরু করেছেন নির্বাচনের বেশ কয়েক সপ্তাহ পর থেকে। এরপরও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তার ট্রানজিশন টিমকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাইডেনের। তার এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ‘ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছেন’। পেন্টাগনের এক মুখপাত্রও বাইডেনের ট্রানজিশন টিমকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
উপদেষ্টাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকের পর টুইটারে পোস্ট করা এক বক্তৃতায় বাইডেন বলেছেন, তার ট্রানজিশন টিম প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তরের কাছ থেকে নানান বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। “এখন পর্যন্ত আমরা বিদায়ী প্রশাসনের কাছ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাচ্ছি না। এটা ঘাটতি নয়, আমার দৃষ্টিতে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা,” বলেছেন বাইডেন। নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট জানান, তার টিম ‘বিশ্বজুড়ে মার্কিন বাহিনীর হালচাল সম্পর্কে স্বচ্ছ চিত্র’ চায়; এ নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুরা তা কাজে লাগাতে পারে বলে তিনি সতর্কও করেছেন। “আমাদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সংস্থার ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে,” বলেছেন বাইডেন।