ট্রাফিক কনস্টেবল পুত্রসহ গ্রেপ্তার

41

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলের কনস্টেবল মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, তার ছেলে মোবাইলে আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ- এর এজেন্ট মো. ইয়াছিন আরাফাত তুষার (২৩), তাদের সহযোগী জাহিদ হোসেন (৩৯) ও রাশেদ হাসান (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নবী হোসেন পাহাড়তলী থানার মামলা করেন। এরপর পুলিশের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) তারেক আহম্মেদ। এ সংক্রান্ত এক আদেশে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৬ জানুয়ারি নবী হোসেন নামে এক ব্যক্তি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকায় ট্রাফিক কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারটিকে থামানোর নির্দেশ দেয়। গাড়ি থামলেই কনস্টেবল মহিবুল্লাহ গাড়িতে উঠে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন বলে ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হলেও মামলার ভয়ে কনস্টেবল মহিবুল্লাহকে নগদ ৮ হাজার টাকা এবং বিকাশে এক লাখ ১৪ হাজার পাঁচশ’ টাকা প্রদান করা হয়। ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় গত ১৮ জানুয়ারি কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, তার ছেলে বিকাশ এজেন্ট মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, জাহিদ হোসেন ও রাশেদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একইসাথে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ও ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় পিআরবি’র সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে আদেশে জানানো হয়।
এ বিষয়ে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলের উপ-কমিশনার (ডিসি) তারেক আহম্মেদ বলেন, অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা বদ্ধপরিকর।