ট্রানজিটের এক চালানে আয় দুই লাখ টাকা

34

 

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিটের একটি চালান সপ্তাহখানেক আগে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর নেমে সড়কপথে সিলেটের শেওলা হয়ে ভারতের আসাম পৌঁছে। এক কনটেইনারের এই চালানে ছিল ২৫ টন স্টিল বার। পরীক্ষামূলক এ চালানে বাংলাদেশ মোট দুই লাখ ১২ হাজার টাকার বেশি আয় করেছে। এ আয়ের মধ্যে তিনটি সরকারি সংস্থা-চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, জাহাজভাড়া এবং ট্রেইলার ভাড়া যুক্ত আছে।
ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহনে বন্দর ব্যবহারের জন্য বিশ্বের কোথাও শুল্ক কর আদায়ের নিয়ম নেই। তবে সেই দেশের অবকাঠামো ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ফি বা মাসুল নেওয়া হয়। সে হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের ট্রানজিট পণ্য পরীক্ষামূলক পরিবহনের জন্য একটি ফি-মাসুল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। পরীক্ষামূলক চালান শেষে ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশ চূড়ান্ত ফি-মাসুল নির্ধারণ করবে।
কনটেইনারে আসা পণ্যের চালানটি কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ বন্দর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘ট্রান্স সামুদেরা’য় করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। জাহাজে ১২৪ একক কনটেইনারে পণ্যভর্তি ছিল। এর মধ্যে শুধু একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য ছিল। কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশি জাহাজ মালিক আয় করেছেন ৬৫০ মার্কিন ডলার। বিনিময়মূল্য প্রতি ডলার ১০০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছে, যার পুরোটাই বৈদেশিক খাত থেকে এসেছে।
জাহাজ মালিক মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন শেখ সাহিকুল ইসলাম বলেন, ‘কলকাতা বন্দর থেকে রওনা দিয়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের একেবারে জেটিতে পৌঁছেছে। ফলে বিশাল সময় সাশ্রয় হয়েছে, বিশেষত ট্রানজিট চালানের জন্য। এই জাহাজে অন্য কনটেইনারের ক্ষেত্রে যে ভাড়া, ট্রানজিট চালানের ক্ষেত্রে একই ভাড়া আদায় হয়েছে। বাড়তি কোনো মাসুল নেওয়া হয়নি। ট্রানজিট কনটেইনারে ২৫ টন পণ্য থাকায় ৬৫০ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।’
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবীর বলেন, যেহেতু চালানটির পণ্য বাংলাদেশে ব্যবহৃত হবে না তাই তার ওপর শুল্ক কর নেই। তবে স্ক্যানিং চার্জসহ বিভিন্ন ফি হিসাবে কাস্টমস রাজস্ব পেয়েছে সাত হাজার ৭৩ টাকা। এর বাইরে সড়কপথ ব্যবহারের জন্য সরকার নির্ধারিত মাসুল ১৫ হাজার ৭৭২ টাকাও আমরা আদায় করেছি। কিন্তু সেই টাকা জমা হয়েছে সড়ক বিভাগের অ্যাকাউন্টে।