ট্রলি ও হুইল চেয়ার নিয়ে যত অভিযোগ রোগীদের

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘একজন রোগীকে জরুরি বিভাগে আনার পর থেকে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া এবং বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা পর্যন্ত ট্রলি ও হুইল চেয়ার নিয়ে চরম আকারে দুর্ভোগে পড়তে হয়। মুমূর্ষু রোগী নিয়েও টানাহেচড়া হয়। এটি খুব বিরক্তির একটা বিষয়।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত নার্সদের সেবা ও ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত গণশুনানিতে ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনরা এসব কথা বলেন।
গতকাল দুপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উদ্যোগে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন হলে নার্সদের সেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রায় ৩০ জন রোগীর স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহাদাত হোসেন, মুক্তাদির হাসান, মিলন, নুর জাহান ও ইয়াসমিন আক্তার। গণশুনানি উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. অং সু প্রু মারমা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সুলতানা পারভীন, চমেক হাসপাতালের নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক ইনসাফি হান্না, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সমন্বয়ক রিজিয়া সুলতানা ও মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মো. আবু সাইদ সেলিম প্রমুখ। গণশুনানিতে রোগীরা বলেন, আমরা আইসিইউ, সিসিইউ ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন বিভাগে নার্সদের আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পেয়েছি। সেখানে সবাই হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করেছেন। কিন্তু জরুরি বিভাগে ট্রলি ও হুইল চেয়ার নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, আপনারা চিকিৎসক ও নার্সদের কাছ থেকে উদ্যোগী হয়ে ইতিবাচক আচরণ দিয়ে সেবা আদায় করে নিবেন। সেবা পাওয়াটা রোগীদের নৈতিক অধিকার। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সুলতানা পারভীন বলেন,গণশুনানিতে নার্সদের সেবা বিষয়ে রোগী ও স্বজনরা ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। রোগীদের প্রতি নার্সদের আরও বেশি সচেতন ও আন্তরিক হয়ে সেবা দিতে হবে। আগামীতে আরও বেশি উৎসাহব্যঞ্জক কথা শুনতে চাই।
চমেক হাসপাতালের নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক ইনসাফি হান্না বলেন, হাসাপতালে ভর্তিকৃত রোগীদের অনেক প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষ কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা মিলে না। ফলে অনেক রোগী হতাশ হন। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই রোগীদের সেবা দিতে হয়।