টেস্টে টাইগারদের শততম হার

8

স্পোর্টস ডেস্ক

অ্যান্টিগার পর সেন্ট লুসিয়াতেও বড় ব্যবধারে হারলো বাংলাদেশ। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও খোয়ালো টাইগাররা। কিন্তু সিরিজ হারের পাশাপাশি একটি লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালো সফরকারীরা। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি শততম হার।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু ২০০০ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টাইগাররা টেস্ট খেলেছেন ১৩৪টি। এর মধ্যে ১৬ টিতে জয় ও ১৮ টিতে ড্র করেছে তারা। আর বাকি ১০০ টিতে হার। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ১৩৪ ম্যাচ খেলেই ১০০ হারের দুর্নাম নেই আর কোনো দলের।
এর আগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ হারের রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে, ২৪১ টেস্টে। আর ৩৩ টিতে পেয়েছিল জয়। তৃতীয় স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার শততম হার আসে ২৬৬ ম্যাচে। একই সময় তাদের জয় ছিল ৮৪ ম্যাচে। শততম হার দেখতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ৩৭৪তম টেস্টে অজিরা পেয়েছিল শততম হারের স্বাদ। এছাড়া ১০০টি টেস্ট হারতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৬৮, পাকিস্তানের ৩৫৭, ইংল্যান্ডের ৩৪১, ভারতের ৩০৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ২৭৯ ম্যাচ লেগেছিল।
২য় টেস্টে বাংলাদেশ হারটা ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। বৃষ্টি কিংবা নুরুল হাসান সোহান, অপেক্ষাটাই বাড়াতে পেরেছেন কেবল।
সেন্ট লুসিয়ায় এই ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এর আগে তারা অ্যান্টিগা টেস্টেও হেরে যাওয়ায় ২-০ তে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে স্বাগতিকরা।
সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে ৪০৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রান করলে ক্যারিবীয়ানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১২ রানের। ওই রান কোনো উইকেট না হারিয়েই করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ১৬ রানে সোহান ও ০ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চর্তুর্থ দিনের শুরুতেই নেমে আসে বৃষ্টি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মাঠ শুকানোর পর প্রস্তুত হয় খেলার জন্য।
সোহান ৪২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এনে দেন ১২ রানের লিড। পেয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিও। শেষ ব্যাটার হিসেবে খালেদ আহমেদ আউট হলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় সোহানকে। ৫০ বল খেলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৬০ রান করেন তিনি।
তবে শেষঅবধি কিছুই আর কাজে আসেনি। আরও একটি টেস্ট সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন ধারাবাহিকভাবে, তাদের লেগেছে রীতিমতো বিধ্বস্ত। নেতৃত্ব বদলেও আসেনি সাফল্য, দায়িত্ব নিতে না জানলে কীভাবে আসবে- ওই প্রশ্নও যেন আরও একবার ওঠল!