টেরিবাজার এলাকায় গ্যাপকোন বসালো ট্রাফিক বিভাগ

17

মাহে রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও ঈদের কেনাকাটার সুবিধার্থে নগরীর টেরিবাজার এলাকায় সৃষ্ট যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গ্যাপকোন বসিয়ে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ। ফলে বর্তমানে ঐ এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক। ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমা এ উদ্যোগ নেন। গত বুধবার সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘রমজান মাসে ঈদের কেনাকাটা করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে টেরিবাজার কেন্দ্রিক পাইকারী-খুচরা মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। তাদের অনেকে প্রাইভেট গাড়ি আবার কেউ কেউ গণপরিবহনে এসব মার্কেটে আসা-যাওয়া করার কারণে অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। তাই যানজট নিরসন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে কোন ধরনের দুর্ভোগের শিকার না হয় সে লক্ষ্যে টেরিবাজার এলাকায় গ্যাপকোন বসানো হয়েছে। জনগণ এর সুফল পাবে বলে আমরা আশা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘টেরিবাজারসহ আশপাশের অন্যান্য মার্কেট-শপিংমলে ব্যবসায়ী সমিতি কর্তৃক রাস্তার পাশে অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদপূর্বক ফুটপাত ও সড়কে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। যানবাহন চলাচলের সকল রাস্তায় সংশ্লিষ্ট সমিতির নিজস্ব লোকবল দিয়ে হকারমুক্ত রাখতে হবে। বড়-ছোট সকল মার্কেট ও শপিংমল কেন্দ্রিক যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তা ও মার্কেটের সামনে পার্কিং করা যাবে না। মেইন রোড কেন্দ্রিক মার্কেটসমূহের সম্মুখরাস্তার প্রবেশপথ নিজস্ব জনবল দিয়ে পরিস্কার রাখা ও আগত যানবাহনে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। রাস্তা দখল করে দাঁড়ানো কিংবা ডাবল লাইনে পার্ককৃত যানবাহন অপসারণ করা হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভাসমান দোকান-পাট অপসারণ করা হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে রমজান ও ঈদ-উল ফিতরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসন সম্ভব হবে।’