টেকনাফে ৮ জাহাজকে জরিমানা

15

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী ৮টি জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-বন্দর ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম। অভিযানে ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনসুর, নৌ-পুলিশের এএসআই মো. মিরাজ উদ্দিন, নৌ-বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। গতকতাল সোমবার খবর আসে, জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজকে ২ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তার মধ্যে, কেয়ারি সিন্দাবাদকে ২৪ হাজার, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ড্রাইং- এ সাড়ে ৭ হাজার, গ্রীণ লাইন ৯০০, বে-ক্রুজ ১২ হাজার, আটলান্টিক ৭৫ হাজার, এমভি ফারহান সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি পারিজাত সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি দোয়েলকে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করতে সর্তকও করা হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় তাদের এ জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দিন দিন পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য দুর্ঘটনা এড়াতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে’।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এ নৌ-রুটে ৮টি জাহাজ চলাচল করছে। কোনো জাহাজ যাতে ধারণ ক্ষমতার বাহিরে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। যদি কোনো জাহাজ পর্যটক হয়রানি ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিবো’।
উল্লেখ, গত ১ নভেম্বর থেকে আগামি বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৮টি জাহাজকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন এসব জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে আসছিল। এছাড়া পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটও নেই তাদের।