টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত, আটক ৩

43

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজি উল্লাহ ডাকাত (৩০) নিহত হয়েছেন। নয়াপাড়া রোহিঙ্গাক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে অজি উল্লাহ ডাকাত ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের সহযোগী। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মিয়ানমারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ ৩ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আটক ডাকাতরা হলেন, নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গাক্যাম্পের আবদুর রকিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার
নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি এলজি ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকসহ গুলিবিদ্ধ ডাকাতসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
ওসি আরও বলেন, নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত জকির গ্রূপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পড়ে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে চাচ্ছিল। অপরাধ নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পে ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।