টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক নারীসহ নিহত ৩

77

টেকনাফের জাদিমোড়ায় পুলিশ-বিজিবির সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়ার ছমিউদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩২), চাঁদপুর দক্ষিণ সতলব উপজেলার চরমুকুন্দীর মো. রেজোয়ান সওদাগরের ছেলে মো. আসমাউল সওদাগর (৩৫) ও যশোর জেলার কোতোয়ালী উপজেলার বসুন্দিয়ার মো. জব্বার আলীর ছেলে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাসকারী মো. জাবেদ মিয়া (৩৪)।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোড়া নাফনদীর কাছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সাথে মাদক পাচারকারীদের পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তারা নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়সাল হাসান খান জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর মধ্যরাতে বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা জাদিমোড়া সংলগ্ন সিকলপাড়ায় একটি গোপন জায়গায় অবস্থান নেন। এ সময় মাদক পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীরা পিছু হটে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত দুই যুবক হচ্ছেন চাঁদপুর জেলার আসমাউল সওদাগর ও যশোর জেলার মো. জাবেদ মিয়া। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশে তৈরি অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলি।
লে. কর্নেল ফায়সাল হাসান খান আরও জানান, এ ঘটনায় বিজিবির ৩ সদস্য আহত হন। তারা হচ্ছেন সিপাহী মতিউর রহমান, ইমরান হোসেন ও মো. রেজাউল।
এদিকে একই রাতে উপজেলার জাদিমোরা সংলগ্ন শিকল ঘেরা পাহাড় এলাকায় পুলিশের সাথে মাদক পাচারকারীদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। মাদক কারবারীরা গুলিবর্ষণ করলে পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-ইয়াবাসহ ছমি উদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগমকে (৩২) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।