টেকনাফে পঙ্গু ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা

54

টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বছর দেড়েক আগে আবুল বশর (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ। এরপর তার ছেলেকেও পিটিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া হয় এবং শ্যালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আবুল বশর (৪৯) নামের ওই ব্যক্তিকেই ঈদের আগের রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রবিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী শামসুন নাহারের অভিযোগ চিহ্নিত প্রতিপক্ষই ভাড়াটে লোকজন দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহত বশর এলাকার মৃত ফয়েজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আবুল বশরের স্ত্রী শামসুন নাহারের বর্ণনা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ঘরের দরজা ভেঙে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। আবুল বশরকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হলে উপপরিদর্শক স্বপনের চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তবে তারা আশেপাশে তল্লাশি চালিয়ে বশরকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ভোরে পাশের চাষাবাদের জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর ঈদের দিন সন্ধ্যায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় একই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদকে প্রধান আসামি করে এজাহারে উল্লিখিত ১৬ জন ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের নামে গত মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক স্বপন চন্দ্র দাশ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
শামসুন নাহার আরও জানান, স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। জমি-জমার বিরোধ নিয়ে নিকট অত্মীয়দের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রæতা রয়েছে বলে জানান তিনি। বছর দেড়েক আগে একই প্রতিপক্ষের হামলায় এক পা হারান বশর। এর আগে বশরের শ্যালক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দেলোয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা। বশরের ছেলে মিজানকেও কুপিয়ে পঙ্গু করা হয়। এসব ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বশর। সেসব মামলার বাদী থাকায় এবার তাকেও হত্যা করে শত্রæরা।