টেকনাফে জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : ওসি

178

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালে বা সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে করোনাকে পূঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারই সুত্রে ধরেই ২১ মার্চ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং, হ্নীলা এলাকার বিভিন্ন মোড়ে স্থানীয় জনগণকে করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্তকতা ও ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দেন।
ওসি প্রদীপ বলেন, ‘খবর পেয়েছি করোনার অজুহাতে টেকনাফের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মাঝে অধিক দামে বিক্রি করছেন। এইটি খুবই দুঃখজনক। কোন ব্যবসায়ী যদি সংকট দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বেশি দামে বিক্রি এবং গোদামজাত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই দ্রব্য মূল্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে পুলিশ বাজার তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেজন্য আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরত করার চেষ্টা করছি’। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হবার আহŸান জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের অভাব নেই। সংকটও নেই। সুতরাং বেশি বেশি কেনাকাটা করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন না। করোনায় আতঙ্কিত হয়ে বাজারে হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা না করার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ওসি বলেন, বিদেশ ফেরতদের অনুরোধ করছি ১৪ দিন যাবৎ হোম কোয়ারেন্টে থাকেন। না হলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। যদি তা অমান্য করেন আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। তাছাড়া কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বিয়েতে গেলে তার কারণে হাজার জনের ক্ষতি হবে, তা হতে দেওয়া হবেনা। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও ইতালিসহ বিদেশ ফেরতদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোাগ মাধ্যমে করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ওসি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- এএসআই সনজিত দত্ত, মোহাম্মদ আমির ও সাগর দেব প্রমুখ।