টেকনাফে এক পরিবারের পাঁচ শিশুর মৃত্যু

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

টেকনাফে আবারও পাহাড়ধসে একই পরিবারের পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২৮ জুলাই) দুইটার দিকে টেকনাফ উপজেলারর হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলিজারপাড়ায় এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা মাটির নিচে চাপা পড়া পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন।
নিহতরা হলো, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি গ্রাম ভিলেজার পাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে আবদু শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবাইর (১২), আবদুর রহিম (৫), মেয়ে কহিনুর আক্তার (৯) ও জয়নবা আক্তার (৭)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মধ্যরাতে টেকনাফের হ্নীলার ভিলিজারপাড়ায় পাহাড় ধসে নিহত সৈয়দ আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলা ভিলেজারপাড়ায় ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আলমের বাড়ির পাশে পাহাড়ধসে তাদের বসত ঘরটি মাটির নিচে চাপা পড়ে। এতে ওই পরিবারের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে মারা যায়। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ভোরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চেয়ারম্যান রাশেদ জানান, টানা বর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে ৫শ বসতবাড়ি প্লাবিত ও বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সহায় সম্পদ। মানুষের দুর্ভোগ চরমে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা চান তিনি।
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায় বলেন- অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও পেকুয়া উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁকখালী, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি জানান- পানিবন্দি লোকজনের জন্য জরুরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫০ মেট্রিক টন খাদ্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জেলার প্লাবিত এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে আশ্রিতদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ইউএনওদের নিদের্শনার দিয়েছি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখার জন্য। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার কাজ চলছে।