নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমীন টেক্সটাইল এলাকায় অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য গুদামজাত করে বিক্রি করায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের একজনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় টিসিবির লোগোযুক্ত ৩৯৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি মসুর ডাল এবং ২৫০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়।
গতকাল রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে র্যাব। টিসিবির ডিলার মো. বাবুর সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছিল চক্রটি।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুুরুল আবছার বলেন, র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী টিসিবির পণ্য (সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি) খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে গোডাউনে মজুদ রেখেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২০ আগস্ট) আমীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ভেতরে ভাড়া করা গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে মো. আব্দুল আজিজ সুমনকে (৩৪) আটক করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোডাউনের ভেতর থেকে টিসিবির লোগোযুক্ত ৩৯৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি মসুর ডাল এবং ২৫০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামি আব্দুল আজিজ সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, পলাতক আসামি টিসিবির ডিলার মো. বাবুর (৩৫) সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করে অবৈধভাবে গোডাউনে মজুদ রাখা হতো। এরপর টিসিবির লোগো সম্বলিত সয়াবিন তেলের বোতল থেকে খালি বোতলে ভরে বাজারে বিক্রি করা হতো। একইভাবে চিনি ও ডাল সাধারণ প্যাকেটে ভরে বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকায় খোলা বাজারে ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রি করার কথা। কিন্তু অসাধু ডিলার তা না করে নিজেদের ভাড়া করা গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করে। পরে কালোবাজারের মাধ্যমে অন্য সাধারণ পণ্যের মতো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল। যার কারণে ভোক্তারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পায় না। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
