টিপু খুনে গ্রেপ্তার ফারুক আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত

10

ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ওমর ফারুক। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুককে শুক্রবার র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ওমর ফারুক। এরপর বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ফারুককে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের
এতে বলা হয়, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খবর ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বহন করবে না। দলের নীতি ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক আপনাকে বহিষ্কার করা হল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে আমরা ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকে বহিষ্কার করেছি।
গত ২৪ মার্চ নিহত টিপু এক দশক আগে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যাকান্ডের পর গ্রেপ্তার হলে তাকে পদচ্যুত করেছিল আওয়ামী লীগ। পরে তিনি মিল্কী হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও দলীয় পদ আর ফিরে পাননি। তবে তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি মহিলা কাউন্সিলর হন। টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু, যেখানে তিনি নিয়মিত বসতেন।