টানা ১০ ঘণ্টা অবস্থানকালে কোনো ক্ষতি করেনি

27

এ কে আজাদ, লোহাগাড়া

লোহাগাড়ায় বনাঞ্চল থেকে লোকালয়ে ঢুকে একদল বন্যহাতি অবস্থান করেছে প্রায় ১০ ঘন্টা। গত শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি গ্রামে হঠাৎ বন্যহাতির দলটি দেখতে পেয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে বাচ্চাসহ ৫/৬টি বন্যহাতি উপজেলার আমিরাবাদের সুখছড়ি গ্রামের লোকালয়ে অবস্থান নেয়। খাদ্যের সন্ধানে বনাঞ্চল থেকে এ হাতির দলটি লোকালয়ে ঢুকে পড়লেও মানুষের কিংবা সম্পত্তির কোনো ক্ষতি করেনি। গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ১০ ঘন্টা লোকালয়েই অবস্থান করে বন্যহাতির দলটি। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় হাতিরপালকে দেখতে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পদুয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর মোরশেদ, আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ ও ডলু বনবিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
পদুয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর মোরশেদ জানান, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি এলাকায় বাচ্চাসহ ৬টি বন্যহাতি দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করে। প্রতিবছর খাদ্যের সন্ধানে উপজেলার কোনো না কোনো গ্রামে বন্যহাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এসময় বনকর্মীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে হাতিগুলোকে যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে এবং তাদেরকে নিরাপদে আবাসস্থলে ফিরে যেতে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করি। এবারও সর্বশেষ রাত ১০ টার দিকে নিরাপদে টংকাবতী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে তাদের আবাসস্থলে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি আরও জানান, বনাঞ্চলে খাদ্য ও নিরাপদ বাসস্থানের সংকটে বন্যহাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আবাসস্থলে হাতি ফিরে যাওয়ার পথে যাতে কোনো জনমানব বাধাগ্রস্ত হতে না পারে সেদিকে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বনবিট কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।