টং বেঁধে ১০ একর জমি দখলের চেষ্টা রামুর রাবার বাগানে

35

রামু প্রতিনিধি

বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন পরিচালিত রামু রাবার বাগানের ১০ একর ভূমি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যূরা। জবর দখলের উদ্দেশ্যে বাগানে সম্প্রতি সৃজিত কয়েক হাজার রাবার গাছের চারা কেটে দেয়া হয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত ভূমি জবর দখলের ঘটনায় বাগানে রাবার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় জানান, সম্প্রতি বাগানের ৫০ একর জমিতে রাবার গাছের রোপণের কাজ শুরু হয়। বাগানের মিতার ছড়া এলাকায় একটি ভ‚মিগ্রাসী চক্র কয়েকদিন ধরে বাগানে সৃজিত ১ হাজারের বেশি চারাগাছ কেটে দেয় এবং এসব পাহাড়ি জমি জবর-দখলের উদ্দেশ্য প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে কয়েকটি ঘর তৈরি করে। চক্রটি বাগানের গাড়ি চলাচল বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে চলাচলের রাস্তাটিও কেটে দেয়। সর্বশেষ চারা রোপণে জড়িত শ্রমিকদের মারধরের হুমকি দিলে বাগান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানাকে অবহিত করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, ওসি আনোয়ারুল হোসাইনসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় বাগানের পাহাড়ি জমি দখলের চেষ্টা, বিপুল পরিমাণ চারাগাছ কেটে দেয়া এবং চলাচলের রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন করার সত্যতা পান। একপর্যায়ে জবর-দখলকারী চক্রের সদস্যদের সাথে ইউএনও প্রণয় চাকমার বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান, যারা জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছে তাদের সাথে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বাগানের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে যারা বসতি গড়েছে তাদের বসবাসের বিষয়ও সমাধান করা হবে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, সরকারি সম্পদ বিনষ্ট ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়া হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি রাবার বাগানের সরকারি জমি জবর-দখল থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাগানের ১ হাজারের বেশি চারা কেটে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ রোপণ করা হয়েছিলো। চলাচলের সড়কও কেটে দেয়া হয়েছে। এতে বাগানের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।