ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

19

মো.এমরান হোসেন, নাজিরহাট

বিদ্যালয় বাহির থেকে দেখলে যে কেউ দূরে থাকবে। কখন ভেঙে পরে এ ভয়ে। তবু এরই ভিতর আতংকের মধ্যে চলে কোমলমতি ৪ শতাধীক ছাত্র-ছাত্রীর সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ম-৫ম শ্রেণির পাঠদান। অথচ এ বিদ্যালয়ের বারান্দার ছাদ বীম, পিলার ও প্রতিটি কক্ষের কখনো ভেঙে পড়ছে ছাদের পেলেস্তার, আবার কখনো ভেঙে পরছে ছাদ বীমের কিছু কিছু অংশ। হা বলছিলাম ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উত্তর রাঙামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। ১৯৯৪ সালে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে ও বর্তমানে জাতীয় করণকৃত। বিগত ২০১০ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জনা খান মজলিশ ( বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রাশাসক) বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে একটি কক্ষ খুবই ঝুঁকি প‚র্ণ হওয়ায় বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি লিখিতভাবে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে সে সময় উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনার পর সভার কার্যবিবরণীতে স্থান পেলে ও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এদিকে ২০১৯ সালে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ঢাকা স্বারক নং-৪৬.০২.০০০০.৮৭৮.০১৭.০১৮.১৭-১৫১২৯ ম‚লে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে দিক নির্দেশনা মতে ডাক যোগে ও সংশ্লিষ্ট ই-ইমেল মারফত প্রেরণের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করে উক্ত বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন করার জন্য উল্লেখ করে যাবতীয় তথ্যাদি প্রেরণ করেন।অপরদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসানুল কবির উক্ত বিদ্যালয়টি মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর ২০২০ পিইডিপি-৪ আওতায় নির্মাণ করার জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর প্রতিবেদনসহ মহা পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরণ করলে ও বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। এদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাসানুল কবির বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে স্থির চিত্র ধারন করেন প্রতিবেদন সহকারে দ্রুত নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় বিপদ হতে পারে। এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পৌরসভার কাউন্সিলর মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এমন বিদ্যালয় ফটিকছড়িতে আর কোথাও নেই। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর বিদ্যালয়টি ভেঙে নতুন ভবন করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রকৌশলী অফিসে গিয়ে ৫ বছর যাবৎ বহুবার ধর্ণা দিয়েছি, কিন্তু কাজের কোন অগ্রগতি নেই। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে দায়ভার কে নেবে।