ঝাল হলেও কাঁচা মরিচের অনেক গুণ

11

হাসিনা আকতার লিপি

ভাতের স্বাদ বাড়ায় কাঁচা মরিচ। এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ কাঁচা মরিচ ছাড়া ভাত খাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। তবে সালাদে কিংবা তরকারিতে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কাঁচা মরিচ ব্যবহার করলেও অনেকে এর উপকারি দিকগুলো জানে না। তাহলে কাঁচা মরিচের গুণাগুণ নিয়ে আজ জানাব পূর্বদেশের পাঠকদের।
চোখ ভালো রাখে: ভিটামিন এ থাকায় এটি সব বয়সী ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও চোখব্যথা দূর করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে: কাঁচা মরিচের অণুজীব-প্রতিরোধক্ষমতা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে তা ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে।
রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করে: শরীরের রোগ প্রতিরোধ-ব্যবস্থা মজবুত করতে সাহায্য করে কাঁচা মরিচ।
হজমশক্তি বাড়ায়: কাঁচা মরিচ খেলে খাবার ভালো হজম হয়।
ফুসফুস সুস্থ রাখে: প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেয়ে ঠান্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
হাড় শক্তিশালী করে: কাঁচা মরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
বয়স ধরে রাখে: যারা নিয়মিত কাঁচা মরিচ খান, তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরি একটি উপাদান।
ওজন কমায়: কাঁচা মরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাকক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে।
মন ভালোা রাখে: এটি মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন বাড়ায়। এই হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচা মরিচ দারুন ভালো।
পাকস্থলির ক্যানসার রোধ করে: এতে ক্যাপসাইসিন রয়েছে। তাই এটি পাকস্থলির ক্যানসার ও পাকস্থলির যেকোনো রোগ নিরাময় করে।
লালা গ্রন্থিকে সক্রিয় রাখে: কাঁচা মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।
ফ্রি র‌্যাডিকেলস কমায়: কাঁচা মরিচে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রক্তে ফ্রি র‌্যাডিকেলস কমায়। বিটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্র কর্মক্ষম রাখে।
লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ও কনসালটেন্ট
ল্যাব এইড লিমিটেড এবং
পার্ক ভিউ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড,
চট্টগ্রাম।