ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও বাজারে দাম চড়া

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলেরা সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরা শুরু করলেও বাজারে এর প্রভাব এখনও পড়েনি। অর্থাৎ দাম কমেনি। প্রতি এক কেজি ইলিশের দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের সাথে অন্যান্য মাছেও কাটছে না অস্থিরতা। এদিকে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা আজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, করলা ৫০, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচুর লতি, ঝিঙ্গা ও মুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে সরবরাহ বেড়েছে সবধরনের সবজিতে। তাই দামও কিছুটা কমে গেছে। তবে টানা বৃষ্টি হলে সরবরাহে ঘাটতি পড়ে। তখন দাম বেড়ে যায়।
বাজারে মাছের বাজার এখনও চড়া। সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়লেও নগরীর বাজারে এখনও কমেনি। মাঝারি আকারের ইলিশ কেজিপ্রতি এক হাজার টাকা ও বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রুই-কাতলার কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি শিং মাছ ৫৫০, পাবদা ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা, কৈ ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলভার কার্প ২০০ টাকা, সামুদ্রিক কোরাল ৪০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা ও পাঙ্গাস ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের বাজার। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ ও লেয়ার ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদির দোকানে খুচরায় প্রতিকেজি চায়না আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও চায়না রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে প্রতিকেজি সাদা চিনি ৮৫ টাকা, লাল চিনি ১০০ টাকা ও গুঁড়োদুধ ৫০০ গ্রাম ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার বাজার কর্মকর্তা সেলিম মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, সবজির সরবরাহ বাড়াতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম। সামনে আরও কমবে বলে আশা রাখি। বৃষ্টি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজির চাহিদা থাকা পরও সরবরাহে বিঘœ ঘটে, এতে দাম বেড়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। প্রত্যেকটি বাজারে আমাদের নজরদারি আছে। কারও কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমাদের জানাতে পারবেন।