ঝর্নাপাড়ায় তুচ্ছ বিষয়ে হামলার ঘটনায় মামলা

20

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ঝর্নাপাড়ায় সামছু মাস্টারের বাড়ির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবতীসহ দু’জনের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন মো. জসিম উদ্দিন ও জুনায়েদ আহমেদ মিতুল।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাদী ও বিবাদী উভয়ই প্রতিবেশী। এ ঘটনা ঘটে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বাদী সামিরার পিতা শামসুল হুদা (৫৩) মামলায় অভিযুক্ত মিতুলকে বাড়ির নিচে খেলাধুলা ও চিৎকার করতে নিষেধ করেন, কারণ তার মেয়ের অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছিল।
এরপর মিতুল (১৯) যেখানে ইচ্ছে সেখানে খেলাধুলা করবে, তাকে ডাক দেওয়ার অধিকার কারো নেই- এমন মন্তব্য করে শামসুল হুদাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন মিতুলের পিতা জসিম।
এর আগে মিতুল সামিরাদের বাসার সামনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, যা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট। এছাড়া এসব ঘটনা মোবাইল ফোনসেটে রেকর্ড করতে দেখে আরো ক্ষিপ্ত হন জসিম ও মিতুল।
পরে মোবাইল রিচার্জ’র দোকানে যাওয়ার জন্য বাসার নিচে নামেন সামিরা ও ছোটভাই ইরফান (১৩)। এ সময় মিতুল রাস্তায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে আক্রমণ করে ইরফানের ওপর। মিতুলকে সামিরা বাধা দিলে মিতুলের পিতা জসিম সামিরার ওড়না টেনে ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে অজ্ঞান হয়ে যান সামিরা।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান সামিয়ার বোন সানজিদ আফরোজ। তিনি বলেন, তারা আবারও ‘দেখে নেব’ বলে হুমকি দিয়ে যান।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডবলমুরিং থানা পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়ার নির্দেশে এসআই জামিল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয় বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।