জয়ের আশায় মিরপুরে আজ নামছে মুমিনুল বাহিনী

3

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় মুমিনুল বাহিনীকে। তাই মিরপুরের শেরে বাংলার পরিচিত কন্ডিশনে জয় বাগিয়ে সিরিজ শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। রাত পোহালে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু। এ ম্যাচের আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৩ টেস্ট খেলা হয়েছে। যেখানে প্রতিপক্ষ দল জিতেছে ১৩ বার, বাংলাদেশ জিতেছে ছয়বার। ড্র হয়েছে তিনবার আর একটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই টাইগাররা। টেবিলের আটে অবস্থান তাদের। তাছাড়া এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্টে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে লঙ্কানদের অবস্থাও প্রায় একই, তবে বাংলাদেশের চাইতে এগিয়ে, টেবিলের পাঁচে। ফলে এই ম্যাচে দুই দলের সামনেই উন্নতির হাতছানি।
এদিকে ঢাকা টেস্টেও বাংলাদেশ শিবিরে হানা দিয়েছে ইনজুরি শঙ্কা। চোটের কারণে স্কোয়াডে নেই মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ। চোটে সিরিজ শেষ শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসানেরও। যে কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে থেকে মিরপুরে নামছে বাংলাদেশ।তবে দলে ইনজুরি আতঙ্ক থাকলেও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। ম্যাচের আগেরদিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি।
মুমিনুল বলেন, আমার কাছে মনে হয় ভালো একটা সুযোগ আছে। চট্টগ্রাম টেস্টে কী হয়েছে, সেগুলো চিন্তা না করে এখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। ঢাকা টেস্টেও যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
কিন্তু মিরপুরের পরিচিত কন্ডিশনের ওপর ভরসা রাখছেন মুমিনুল। ৫ দিনের ১৫ সেশনে পাওয়া যে কোনো সুযোগ কাজে লাগাতে চান তিনি।
মুমিনুল যোগ করেন, ‘জেতার সুযোগ সব সময় থাকে। সেটা মিরপুরে খেলি বা দেশের বাইরে। সুযোগটা কিভাবে নিচ্ছি সেটা হচ্ছে বড় ব্যাপার। কন্ডিশন চিন্তা করলে এটা আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ জেতার।’
মিরপুরে বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুটি পরিবর্তন মোটামুটি নিশ্চিত। নাঈম হাসানের জায়গায় খেলবেন মোসাদ্দেক সৈকত। আর দ্বিতীয় পেসার হিসেবে একাদশে সুযোগ পেতে পারেন এবাদত হোসেন।
অপরদিকে লঙ্কান শিবিরে নেই কোনো ইনজুরি আতঙ্ক। পুরো শক্তি নিয়েই বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে মাঠে নামছে দিমুথ করুণারত্নের দল। গতকাল ম্যাচের আগের দিনই একাদশ ঘোষণা করেছে সফরকারীরা।