জয়নাল, তার স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ২

50

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দিয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুটি মামলাতেই রোহিঙ্গা কেলেঙ্কারিতে কারাগারে থাকা ডবলমুরিং থানা অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তার স্ত্রী ও ভাইসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ নম্বর ও ২ নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ উপ-সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন মামলা দুটি করেন। এরমধ্যে সর্বশেষ টাকা পাচারের দায়েরকৃত মামলায় ঋষিকেশ ও নিরুপম নামে দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
জানা যায়, চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ ৬৯ লাখ সাত হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় শুধু জয়নালকে আসামি করা হয়। অপরদিকে মোট ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৬ টাকা পাচারের অভিযোগে উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের করা মামলায় জয়নালসহ সবাইকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জয়নালের স্ত্রী আনিছুন নাহার, ভাই জাফর, ঢাকায় এনআইডি প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সত্য সুন্দর দে, জয়নালের সহযোগী সীমা দাশ, তার ভাই বিজয় দাশ, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অস্থায়ী অফিস সহায়ক ঋষিকেশ দাশ ও বান্দরবান সদর উপজেলার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিরুপম কান্তি নাথ। জয়নালের স্ত্রী ও ভাই জাফর ছাড়া অন্যরা এনআইডি জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
অর্থ পাচারের মামলার নথি অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় ৩৪ লাখ তিন হাজার ১৫২ টাকা, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক আনোয়ারা শাখায় ২৮ লাখ ২০ হাজার ১৪৪ টাকা, প্রাইম ব্যাংক বাঁশখালী শাখায় এক লাখ ১০ হাজার এবং এসএ পরিবহনের মাধ্যমে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৬ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও বাড়ি নির্মাণে ব্যয়ের ঘটনায় আট আসামির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ও দন্ডবিধির ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে। অন্যদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬৯ লাখ সাত হাজার ৪৪২ টাকার সম্পদ নিজের ভোগ দখলে রাখার ঘটনায় জয়নালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা হয়েছে।