জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা পরিবেশ অধিদপ্তরের

3

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীসহ বিভিন্ন নদীর জমিতে ভূমিদস্যুদের থাবা রয়েছে। নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হাউজিং সোসাইটি, মার্কেট, বসতভিটা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদী দখল ও প্যারাবন কেটে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম। তবে মামলায় ঘটনার সাথে জড়িত অনেক প্রভাবশালীর নাম বাদ পড়েছে উল্লেখ করে তাদেরও দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ।
তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বাঁকখালী নদী ও প্যারাবন রক্ষা করা যাবে না।
গত বুধবার কক্সবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কস্তুরাঘাট এলাকায় অবৈধভাবে প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদী সংযোগকারী খাল ভরাটের স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, কস্তুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘কোস্টাল এন্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি প্রকল্প’ কর্তৃক সৃষ্ট কয়েকশ একর প্যারাবনের প্রায় ১৫ হাজার গাছ কেটে প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে এবং কিছু ভরাটকৃত স্থানে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
বাঁকখালী নদী দখল ও প্যারাবন কেটে সাবাড় করায় এজাহারে ৭ জনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মহেশখালী কুতুবজোম ইউনিয়নের মেহেদিয়া পাড়া এলাকার মৌলভী কবির আহমেদের ছেলে রুকন উদ্দিন (৪০), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা হাজী পাড়া এলাকার মৃত হাজী আশরাফ আলীর ছেলে আমীর আলী (৪৫), বদরমোকাম কস্তুরাঘাট এলাকার মো. কামাল ওরফে কামাল মাঝি (৪৮), দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়াস্থ এবিসি ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ প্রকাশ ঢাকা মুহাম্মদের ছেলে মো. ইসলাম ওরফে খোল বাহাদুর (৫২), আলিরজাহান সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার মতিউর রহমান লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক ইমন (৪৩), মহেশখালী চরপাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমেদের ছেলে মো. ইফসুফ (৪২) ও কস্তুরাঘাটস্থ বদরমোকাম এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইব্রাহীম (৩০)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ জন।