জ্বালানি বিভাগকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ মন্ত্রীসভার

7

ঢাকা প্রতিনিধি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশ নেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। বিষয়গুলো মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তেলের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তারা যেন ‘আবারও ব্রিফ’ করে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। আর পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৫১.৬৮% বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়।
ইউক্রেইন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারের অস্থিরতার কথা তুল ধরে সেদিন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে।
তবে সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। গত ছয় বছরে বিপিসি যে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, সেই টাকার হিসাবেও ‘কোনো স্বচ্ছতা নেই’ বলে অভিযোগ এনেছে সিপিডি।
এই আলোচনার মধ্যে বুধবার ঢাকার কারওয়ান বাজার বিপিসির ঢাকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোম্পানির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, এখন ডিজেল বিক্রি করে তাদের প্রতি লিটারে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হলেও অকটেনে প্রতি লিটারে লাভ হচ্ছে ২৫ টাকা। তবে সরকারি দরে ডলার কিনলে এবং জুলাই মাসের মতো বিক্রি হলে শুধু ডিজেল-অকটেন থেকে প্রতি মাসে ২০৫ কোটি টাকা মুনাফা হতে পারে।
গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী হওয়ায় তা সমন্বয় করে দেশেও কমানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এসেছে কি না- তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এগুলো নিয়ে তো উনারা (জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি) বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন।
আজকে (বৃহস্পতিবার) বলে দেওয়া হয়েছে, কারণ এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। স্বল্প পরিসরে আমি ব্যাখ্যা দিলে অনেক প্রশ্ন আসবে, উত্তরও হয়ত দেওয়া যাবে না টেকনিক্যাল বিষয়ে। সেজন্য অলরেডি জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যে ব্রিফিং করেছে, সেটা আবার রি-ব্রিফিং করে দেবে।