জোয়ার-ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকত

8

রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার

জোয়ার ও ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন অংশ। প্রতিনিয়ত ভাঙছে সৈকতের বালিয়াড়ি। স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়ার কাজ শুরু করার পর থেকেই মূলত ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যান। এ সময় স্থানীয়রা সৈকত থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনসহ জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর নামে লাখ লাখ টাকা অপচয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।
কবির বিন আনোয়ার স্থানীয়দের বলেন, ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে অনেক উঁচু বাঁধ দরকার। ইতোমধ্যে আমরা একনেকে তিন হাজার ১৪০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প জমা দিয়েছি। নাজিরারটেক থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ হবে। তখন হয়তো সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে কক্সবাজার।
কবির বিন আনোয়ার সৈকতের কবিতা চত্বর,ডায়াবেটিক পয়েন্ট, লাবণী ও সুগন্ধা বিচ পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা কাশেম আলীসহ সংশ্লিষ্টরা ছিলেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত সৈকত এলাকায় বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে বিভিন্ন এলাকার বালু সরে যাচ্ছে। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। ভাঙনের কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। ভাঙনের কবলে সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বালিয়াড়ি ও ঝাউগাছ। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসন নির্মিত উন্মুক্ত মঞ্চ পর্যন্ত চলে এসেছে ভাঙন। কিছু কিছু জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও লাভ হচ্ছে না। ঢেউয়ের আঘাতে লাবণী পয়েন্টের বেশ কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। ওই এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্পডেস্কও যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়েছে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্ট। সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আমরা ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।