হাটহাজারী প্রতিনিধি
বৃষ্টি-বাদল কিছুই নেই। তবুও পানিতে তলিয়ে যায় এলাকার রাস্তা-ঘাট ও গ্রামীণ সড়ক। ফলে প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামবাসীকে বসতঘরে বন্দী থাকতে হয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় জোয়ারের পানি যেন গ্রামবাসীর নিত্যসঙ্গী। এতে করে প্রতিদিন তলিয়ে যাওয়া এসব সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। বিগত দুই মাস ধরে এক দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৩নং দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের আকবরিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। এ সময় তারা জানান, গত দুই মাস যাবত দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হালদা নদীর তীর গড়িয়ে জোয়ারের পানি উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন আকবরিয়া এলাকার ফতেয়াবাদ-মদুনাঘাট সড়ক ও গ্রামীণ জনপদ তলিয়ে যায়। এ সময় গ্রামবাসীকে ঘরে বন্দী অবস্থায় থাকতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না।
ওই এলাকার আক্কাস উদ্দিন শাহ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হালদা নদীর জোয়ারের পানিতে আমাদের আকবরিয়া এলাকার গ্রামীণ জনপদ প্রতিনিয়তই তলিয়ে যায়। এরমধ্যে দক্ষিণ মাদার্শা ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আকবরিয়া কমপ্লেক্স এলাকা সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়। এ সময় আমাদের বেকায়দায় পড়তে হয়। এছাড়া জোয়ারের পানির তোড়ে এলাকার অন্যতম গ্রামীণ ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মজিদ জানান, হালদা নদীতে নির্মাণাধীন বেঁড়িবাঁধের কাজ শেষ হলে এলাকাবাসী এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে। এ সমস্যা সমাধানকল্পে বেঁড়িবাঁধের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছি।