জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

28

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের সামনের অংশের ছাদ ধসে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশ (যেখানে গাড়ি গিয়ে থামে বা লোকজন গাড়ি থেকে নামে) বর্ধিত করার কাজ চলছিল। ঠিকাদার কৈলাশ ত্রিপুরা ও ক্যাজরী মারমা যৌথভাবে ২২ শ্রমিক দিয়ে সকাল থেকে প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে ছাদের কাজ করাচ্ছিলেন। এতো উঁচুতে কাজ করালেও ছাদের নিচে কোনো লোহার ঠেস দেওয়া হয়নি। নিচে বাঁশ দিয়ে ছাদের ঠেস দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ভারের কারণে ছাদের নিচের বাঁশগুলো ভার রাখতে না পারায় ভেঙে পড়ে। এ সময় ছাদের উপরে এবং নিচে থাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়ে। সেনা সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক, খাগড়াছড়ি ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশন ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে মৃত ও পাঁচজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মৃত একজন শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২) হলেও অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহতরা হলেন সদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪) ও মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আর কেউ চাপা পড়েছে কি না তা উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর বলা যাবে। তবে রাত্রি হওয়ায় উদ্ধার কাজে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলমসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে ঘটনাস্থলে ঠিকাদার বা তাদের পক্ষে কথা বলার কাউকে পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংশিপ্রু চৌধুরী অপু জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।