রাউজান : রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এক জোট হয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতকরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যা করতে পারলে এদেশে আবার পাকিস্তান কায়েম হবে। কিন্ত বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা এদেশে মানুষের ভালবাসায় রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা এসেছে। দেশকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় পরিনত করেছেন। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করছেন। আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই দেশ উন্নত দেশ গুলোকেও অতিক্রম করবে। তিনি গত মঙ্গলবার জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক বশির উদ্দিন খানের পরিচালনায় শুভেচ্চা বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, সহ সভাপতি কামরুল হাসান বাহাদুর, স্বপন দাশ গুপ্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, আলমগীর আলী, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম শাহ্জাহান, চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দিন আরিফ, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, নুরুল আবছার বাঁশি, আবদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল জব্বার সোহেল, রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর শওকত হাসান চৌধুরী, এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সারজু মোহাম্মদ নাছের, আহসান হাবিব চৌধুরী,হাসান মো. রাসেল,শওকত হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ প্রমুখ। পরে জাতীয় চার নেতার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন করেন হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাদেরী।
পটিয়া : জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেছেন, দলের ভিতরে খোন্দকার মোস্তকদের চিহিৃত করতে হবে। ১৯৭৫ সালে ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাÐ এখই সূত্রে গাঁথা। ৩ নভেম্বর খন্দকার মোস্তাকের নির্দেশে জেলখানা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গত মঙ্গলবার বিকেলে পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ.ক.ম. সামশুজ্জমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তব্য ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান দেবব্রত দাশ দেবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিজন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, আইয়ুব বাবুল, আবু ছালেহ চৌধুরী, চেয়ারম্যান এমএ হাশেম, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, খন্দকার মোস্তাক অনুসারীরা পরবর্তীতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে দলের ভিতরে থাকা বেইমান খোন্দকার মোস্তাকদের অনুসারীদের চিহিৃত করতে হবে। যারা অনুপ্রবেশকারীদের এবং সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজদের কোন অবস্থাই দলের স্থান দেওয়া যাবে না।
চন্দনাইশ : চন্দনাইশ উপজেলার বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালিত। গত ৩ নভেম্বর চন্দনাইশ সদরস্থ কেন্দ্রীয় স্মৃতিশোধে জাতীয় ৪ নেতা স্মরণে পুস্প অর্পণ করা হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মো. আমির হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম কায়সার উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মাহাফুজুর রহমান চৌধুরী। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম বানু, মো. নিয়াজুর রহমান, মাওলানা মো. জাহিদুল হক, মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, মো. জাহিদুল আলম রুবেল, মো. শাহাজাহান, মো. মোস্তফা আক্রাম, হারুনুর রশিদ, মো. মুরাদ প্রমুখ। সভায় বক্তরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ এর ১৫ আগস্টসহ পরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মানসুর আলীকে এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া : জেল হত্যা উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় চার নেতা স্মরণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম তালুকদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যের মধ্যে মো. এমরুল করিম রাশেদ, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আবু তাহের, প্রকৌশলী প্রদীপ বড়ুয়া, কাউছার নূর লিটন, জসিম উদ্দীন শাহ্, নিজাম উদ্দীন বাদশা, আব্দুল হালিম তালুকদার, মাহমুদুল হাসান বাদশা, সদস্য – ফজল আহমদ, আব্দুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, শেখর বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, মোবারক আলী, হান্নান চৌধুরী, উপদেষ্টা মন্ডলীর মধ্যে জাহেদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আসলাম খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে নুরুন্নবী, আব্দুর রউফ মাস্টার, মো. নাসির উদ্দীন, নুর উল্লাহ, মুজিবুল হক হিরু মো. জালাল উদ্দিন, বদিউল আলম মাস্টার, আহসান আল্লাহ্, মো. নুরুল আবছার, সৈয়দুল আলম তালুকদার, জাহেদ হোসেন, ভাস্কর সাহা, যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনূচ, মো. ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন রিয়াজ। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও মোনাজাতের মাধ্যমে বিশেষ দোয়া করা হয়।
বান্দরবান : বান্দরবানে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাসের সভাপতিত্বে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসাপ্রূ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, শহর আয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশাসহ আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা ও সদস্যবৃন্দ।
নাইক্ষ্যংছড়ি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া খায়েরের মধ্য দিয়ে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্ত্বরে আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুল হক, প্রচার সম্পাদক ক্যানু ওয়ান চাক, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ফখরুল ইসলাম কালু, ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, মো. হোসন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভা নেত্রী জুহুরা বেগম, কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মামুন শিমুল, শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক পাইসু মার্মা, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান বাপ্পী, কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি রায়হান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল আলম মুমু, ছাত্রনেতা আবু ছালেহ নোমান, আবরার প্রমুখ।
