জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে গ্রামগুলোকে সাজাতে হবে

38

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের সব গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা বিষয়ক একটি উপস্থাপনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স সংলগ্ন ‘জমি অধিগ্রহণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ উপস্থাপনার সময় প্রধানমন্ত্রী আবাদি জমি রক্ষার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কেবল উপজেলা পর্যায়ে নয়, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি সব গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইটি) ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে সময় লাগবে ৪ বছর। এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান প্রকল্পটি উপস্থাপন করেন।
দেশব্যাপী ৩,৪৬৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ‘জরুরি নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’-এর অংশ হিসেবে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৮১টি মিউনিসিপ্যালিটিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির আওতায় সড়ক উন্নয়ন, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, খালখনন, নদীতীর পুনর্নিমাণ, পুকুর-খাল-বিল সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, বৃক্ষরোপণ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের পাশে বাতি স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকায় এলজিইডির বেশ কিছু উন্নয়নকাজের সর্বশেষ অবস্থারও প্রশংসা করেন। খবর বাসস’র
পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে টিভি চ্যানেলগুলো :
বাংলাদেশের সবগুলো টেলিভিশন চ্যানেলগুলো (টিভি) পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল মালিক (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বাংলাদেশে একটি চ্যানেল বিটিভি (বাংলাদেশ টেলিভিশন) ছিল। আমরা ১৯৯৬ সালে এসে এ সেক্টরকে বেসরকারিখাতে উন্মুক্ত করে দেই। তিনি বলেন, তার সরকার সংবাদ স¤প্রচারে স্বাধীনতা দিয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের প্রতিষ্ঠান অ্যাটকো প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সব বেসরকারি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ স¤প্রচার শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।
টিভি চ্যানেলগুলোকে ‘পে’ চ্যানেল করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন অ্যাটকো নেতারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মালিক সালমান এফ রহমান, তথ্য সচিব আবদুল মালেক।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটকো সভাপতি ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের মালিক অঞ্জন চৌধুরী, ডিবিসি টেলিভিশন মালিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু ও সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের।