জীবনের গল্পগুলো একই ছকে বাঁধা

34

হৈমন্তী তালুকদার

আমি সারাদিন অনেক পরিশ্রম করি, কারো আশা করিনা, সিজারিয়ান হওয়ায় কিছুটা সাহায্যকারীর উপর নির্ভর করতে বাধ্য হই। মাঝেমধ্যে সে বলে, আপা, নিজের কাজটা মন দিয়ে করতে খুব ভালো লাগে। ও বলে আপা আপনি সারাদিন অনেক কাজ করেন। কোনো কাজ জমিয়ে রাখেন না, আপনি যান বাবুদের পড়ান, আরও কত কাজ। খুব ভালো লাগে তার কথায়। আসলে এভাবে পরও অনেক সময় আপন হয়ে যায়। তখন মনে হয় ওরাই তো আমার আপন, এভাবে একজন আরেকজনের কষ্টটা বুঝলে সবকিছু সহজ হয়।
সবাইকে আরও আপন মনে হয়। আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধটা সবচেয়ে বড়। নিজের দায়িত্বটা নিজেই নিই না বলেই চারপাশে এতো অভিযোগ। সময়ের সাথে মানুষের সুখ সাচ্ছন্দ্যের গতি পরিবর্তন হয়, কিন্তু মানুষের বিবেকের যেন পরিবর্তন হচ্ছে না।
যেকোন দায়িত্ব সবাই যদি যে যার জায়গায় নিষ্ঠার সাথে পালন করে ছোট থেকে বড় সবাই সবার পরিশ্রমের কদর করে তাহলে পৃথিবী অনেক সুন্দর হতো। চেষ্টা করতে হবে সবসময়ই সকলের জন্য কিছু করার। নিজে ভালো থাকব অন্যরা কষ্টে থাকবে তা হয় না,আবার কেউ শত সুবিধা পাওয়ার পরও তাদের মন মানসিকতা এতোটুকুও বদলায় না। কেউ করতেই থাকে বিনিময়ে কোনকিছু আশা না করে। তখন ভাবি এই করে যাওয়াটা কতো কঠিন, পরিবারের জন্য দেশের জন্য, দশের জন্য করাটা কতো কঠিন কাজ,যাদের পরিবারের মানুষ করে শুধু তারাই উপলব্ধি করতে পারে আর কেউ নয়।
মানুষের দোয়া, আর আশীর্বাদে অনেক শক্তি, মানুষের জন্য, সমাজের জন্য করতে পারলে জীবন সার্থক। সৎ মানুষের কষ্ট বেশী, কিন্তু মনের শান্তিটা ও অনেক বেশী।
জীবনটা খুব ছোট, ছোট জীবনে খুব বেশী দরকার হয় না, যে যার জায়গায়, সুখ অনুভব করতে পারলে জীবন অনেক সুন্দর মনে হয়।