জীবনকে সুরক্ষা করেই জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে : রেজাউল

6

চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কাঠামে স্ট্যান্ড রোডের দীর্ঘ দিনের বেহাল অবস্থা নিরসনকল্পে গত বুধবার রাত থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ উক্ত রোডের কাপের্টিং কাজ শুরু করেছে। অচিরেই তা সম্পন্ন হবে বিধায় যান ও জনচলাচলে সম্পূর্ণ উপযোগী হয়ে উঠবে বলে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সরকারের কঠোর লক ডাউন চলাকালে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও জরুরী সেবা কার্যক্রম লক ডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তাই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের জরুরী সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনার প্রথম পর্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার সুদক্ষ বিচক্ষণতায় সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার উদ্যোগ অনেকাংশে সফল ও বিশে^ প্রশংসিত হয়েছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নতুন ধরণের সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধানে সরকারের কঠোর লক ডাউন ঘোষণা জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে স্তব্দ করলেও এতে হতাশ হবার কারণ নেই। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জীবনকে সুরক্ষা করেই জীবিকা নিশ্চিত করা। তাই এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জরুরী সেবা কার্যক্রম চালু রেখে জনদুর্ভোগ লাগবে সচেষ্ট।
মেয়র আরো উল্লেখ করেন, বর্ষা মৌসুমে জমাট পানিতে মশক প্রজননের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটতে পারে বিধায় পরিচ্ছন্ন বিভাগকে ৪টি টিমে বিভক্ত করে ৪১টি ওয়ার্ডে মশক নিধন অভিযান ও ওষুধ ছিটানোর উদ্যোগ চলমান রাখা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে নালা-নর্দমা পরিস্কারের পাশাপাশি মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য আলাদা ১শত জন দক্ষ স্প্রে-ম্যান দিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪টি ওয়ার্ডে ২৫জন করে স্প্রে-ম্যান মশক নিধন কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, নগরীর স্ট্যান্ড রোড দীর্ঘ দিন ধরে চলাচল উপযোগীতা হারিয়েছে। রাস্তার ধারণ ক্ষমতার বেশি মালামাল নিয়ে পরিবহন চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত সড়কটি খানা-খন্দকে পরিনত হয়েছে। এ ছাড়া বড় নালার উপর অবৈধ স্ল্যাব বসিয়ে স্থাপনা তৈরী এবং অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড থাকায় ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে জনদূর্ভোগ প্রকটতর পর্যায়ে পৌঁছে। এই সড়কটি সংস্কার কাজ দীর্ঘ দিন ধওে চলমান থাকলেও তা কখনো পূর্ণতা পায়নি। এবার এই রোডে সদরঘাট থেকে পুরাতন কাস্টম অফিস পর্যন্ত এর অর্ধেকাংশ কাপের্টিং কাজ শেষ হওয়ায় জনদুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।
তিনি আরো বলেন, মাহে রমজান, পহেলা বৈশাখ ও লকডাউন শুরু একই দিন ছিল। তাই দিনটি নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবকিছুর উর্ধে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা। এ ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও করোনার দ্রুত বিস্তার রুখতে জরুরী সেবা ও করণীয় জনহিতকর কার্যক্রম চলমান রাখতে সার্বক্ষণিক ভাবে মাঠে আছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলগণের তত্ত্বাবধানে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন-জাইকার কনসালন্টেন্ড মিরাজ কবিরাজ, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, উপসহকারী প্রকৌশলী নুরু সোলায়মান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বাবু মিত্র, মো. মঈন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি