জিপিএইচ ইস্পাত চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ রোমাঞ্চকর জয়ে শতদল ক্লাব ও মোহামেডান ব্লুজের পূর্ণ পয়েন্ট

22

 

দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও চার গোল করে জিপিএইচ ইস্পাত চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে শতদল ক্লাব। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শতদল ৪-২ গোলে অফিস দল বিসিআইসি ক্রীড়া সংসদকে পরাজিত করে। বিসিআইসি এ নিয়ে টানা পাঁচ খেলায় পরাজিত হলো। নির্ঘাত অবনমনে পড়তে যাওয়া দলটির জন্য কোন সহানুভূতি নেই তাদের মূল কতৃপক্ষের। দলটি লিগে না খেললেই যেন বাঁচেন তারা। দলের সাবেক কিছু খেলোয়াড়, সংগঠকের কারণেই এবারের লিগে তাদের খেলতে নামা। গতকাল খেলার ১০ মিনিটে বিসিআইসি দলের আকাশ গোল করেন (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ মিনিটে দলের অধিনায়ক শুভ গোল করলে বিসিআইসি ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় সাহাবুদ্দিন মো জাহাঙ্গীরের স্পিরিটেড শতদল। পাঁচ মিনিট পরে দলের অধিনায়ক সুমন ইসলাম গোল করে ব্যবধান কমান (২-১)।
উজ্জীবিত শতদল ৩৮ মিনিটে খেলায় সমতা আনে আবারো সুমন ইসলামের গোলে (২-২)। এ অর্ধের শেষ দিকে বক্সে ঢুকে পড়া দিদারুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে বাধা দেন বিসিআইসি কিপার মহসিন। রেফারী জিএম চৌধুরী নয়ন তাকে লাল কার্ড দেখান এবং শতদলের পক্ষে পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে সানোয়ার হোসেন গোল করলে শতদল এগিয়ে যেতে সমর্থ হয় (৩-২)। বিসিআইসির ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হয় ইনজুরি টাইমে শতদল আবারো গোল পেলে। এবার শতদল অধিনায়ক সুমন ইসলাম এগিয়ে আসা বিসিআইসি কিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন (৪-২)। সে সাথে সুমন অর্জন করেন হ্যাটট্রিক। এটি এবারের লিগের দ্বিতীয় হ্যাট্রিক। এর আগে সিটি কর্পোরেশনের ডালিম বর্মন লিগের প্রথম হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন।
দুই গোলে এগিয়ে থাকা বিসিআইসি শেষ পর্যন্ত টানা ৫ খেলায় হেরে পয়েন্টহীন। অপরদিকে শতদল ৫ খেলায় ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। গতকালের খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শতদলের সুমন। তার হাতে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন জেলা ক্রীড়া অফিসার ও সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য হারুন অর রশিদ।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বøুজ ২-০ গোলে কাস্টমস স্পোর্টস ক্লাবকে পরাজিত করে এবারের লিগে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। এর আগে দুই ড্র ও ২ পরাজয়ে মাত্র দু’পয়েন্ট ছিল ঐতিহ্যবাহী দলটির। ৫ খেলা শেষে তাদের পয়েন্ট ৫, অন্যদিকে কাস্টমস সমান খেলায় ৩ পয়েন্ট পেয়েছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কাস্টমসের প্রাধান্য ছিল নিরঙ্কুশ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও কাস্টমস অনেকগুলো সুযোগ পেলেও তা থেকে তাদের আক্রমনভাগ কাঙ্খিত গোল করতে পারেনি। হাস্যকর মিস করেছে বেশ ক’বার। বরং ২১ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান ব্লুজ। দলের তপু তরফদার দুটো হলুদ কার্ড দেখে (লাল কার্ড) মাঠের বাইরে যেতে হয়। কিন্তু ১০ জলের দলে পরিণত হয়েও মোহামেডান অন্যরকম চাঙ্গা হয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে দু’দুবার এগিয়ে যায়। ৩২ মিনিটে রাব্বির কাছ থেকে বল পেয়ে নাসির উদ্দিন চৌধুরী জটলার মধ্য থেকে টোকা দিয়ে গোল করেন (১-০)। ৪২ মিনিটে তিন দফা চেষ্টায় গোল করেন বদলি আকাশ মৃধা (২-০)। আনন্দের বন্যা বয়ে যায় মোহামেডান শিবিরে।
এ খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ব্লুজের গোলরক্ষক সাদ্দাম। তার হাতে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য।
আজকের খেলা: ব্রাদার্স ইউনিয়ন বনাম চ.ব.ক ক্রীড়া সমিতি (সাড়ে ৩টা)।