জিডিপিতে ভারতকে আবারও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

14

মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে আবারও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯৪ ডলার। অন্যদিকে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১১৬ দশমিক ৪৪৪ ডলার। এ নিয়ে পরপর দুইবার ভারতকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে আইএমএফ প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক (ডবিøউইও) অনুযায়ী, করোনার প্রভাব কাটিয়ে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
আইএমএফ বলছে, ভারতের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আগের বছর ভারতের অর্থনীতি বেশি মাত্রায় সংকুচিত হয়েছিল। এ কারণেই আবারও ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের পূর্বাভাসে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বেশি হবে ২২ দশমিক ৩৫ ডলার।
মূলত এবার রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলা হলেও আগের বছরের উচ্চ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির প্রভাবেই ভারত এখনও পিছিয়ে। এমনকি আগামী বছরও দেশটি পিছিয়ে থাকবে বলে আইএমএফের ধারণা।
এক বছর আগে ডব্লিউইও প্রকাশ করে আইএমএফ জানিয়েছিল, ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ভারতের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ঋণাত্মক, অর্থাৎ (-) ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার এবং ভারতের হবে ১ হাজার ৮৮৭ ডলার। সুতরাং গতবার বাংলাদেশ ছিল এক ডলারে এগিয়ে।
আইএমএফ অবশ্য এখন বলছে, ২০২০ সালে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক, অর্থাৎ (-) ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত তাদের হিসাবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৬১ দশমিক ৬১৪ ডলার এবং ভারতের ১ হাজার ৯২৯ দশমিক ৬৭৭ ডলার। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
অবশ্য ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই এগিয়ে আছে। মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও আকারের দিক থেকে ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের অর্থনীতি ১০ গুণ বড়।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্রয়ক্ষমতার সূচকে ভারতই এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে ভালো করছে। সুতরাং মাথাপিছু জিডিপি ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সূচকে নজর দিতে হবে।’
এদিকে আগে থেকেই ভারতের মেয়েদের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের শিক্ষার হার বেশি ও নারীপ্রতি জন্মহার কম। অন্যদিকে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে নবজাতক ও পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হারও কম।