জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতেই বিপত্তি

10

জার্মানিতে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির শুরুতেই বিপত্তি ঘটেছে। ভ্যাকসিন যথেষ্ট ঠান্ডায় রাখা হয়নি- সোমবার এমন অভিযোগ করেছে বেশ কিছু শহরের কর্তৃপক্ষ। টিকা পৌঁছাতে দেরির অভিযোগও জানিয়েছে কয়েকটি নগর প্রশাসন। তৈরির পর থেকে নির্দিষ্ট রাজ্য বা শহর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন একটা নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঠাÐা রাখার কথা। সেই প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন বিতরণে একেবারে শুরুর পর্যায়েই ধরা পড়েছে সমস্যা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত ঠাÐায় রাখা যায়নি। এক বিবৃতিতে বাভারিয়ার লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কুল বক্সে ন্যূনতম যে তাপমাত্রার উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে মেলাতে গিয়েই প্রথমে সমস্যাটা চোখে পড়ে। ভ্যাকসিন ঠান্ডা ও কার্যকর রাখার জন্য এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োনটেক-ফাইজার। এর সহায়তায় ভ্যাকসিন কুল বক্সে রাখার আগ পর্যন্ত মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা মাইনাস ১১২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি তাপমাত্রায় রাখাতে হয়। আর আলট্রা-লো টেম্পারেচার অর্থাৎ অতি শীতল তাপমাত্রা থেকে বের করে আনার পর ভ্যাকসিনগুলো দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে রাখা অত্যাবশ্যক। সেভাবে রাখা হলে ভ্যাকসিন অন্তত পাঁচদিন কার্যকর থাকে।
বাভারিয়ার লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ একটা কুল বক্সের ভ্যাকসিন পেয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। এর ফলে অন্তত হাজারখানেক ডোজ এখন কার্যকারিতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো এখন কাউকে দেওয়া ঠিক হবে কিনা লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ তা বুঝতে পারছে না। লিশ্টেনফেলসের একজন মুখপাত্র জানান, এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য বায়োএনটেক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখনও কোনও সাড়া মেলেনি।